একনজরে “আয়রন ডোম” সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ১০টি তথ্য।

(১) আয়রন ডোম হলো আগ্নেয়াস্ত্র মিসাইল প্রতিরোধী পদ্ধতি; যেটি রকেট ও শেল ধ্বংস করতে পারে। আয়রন ডোম আসলে একটি প্রতিরক্ষামূলক আচ্ছাদন। রকেট, মর্টার থেকে যাবতীয় দূরপাল্লার বিভিন্ন অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন অদৃশ্য এক দেয়াল এই আয়রন ডোম।

(২) রকেট, মর্টার থেকে যাবতীয় দূরপাল্লার বিভিন্ন অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন অদৃশ্য এক দেয়াল এই আয়রন ডোম। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ইসরায়েলে ঢুকে পড়া সব মিসাইলের ৯০ শতাংশকেই তাদের আয়রন ডোম অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম রুখে দিয়েছে।

(৩) সাধারণত কোন দেশ তাদের আকাশ বা জলপথের সীমানায় এই ধরণের আয়রন ডোম ইনস্টল করে থাকে।

(৪) ইজরায়েল যে আয়রন ডোম পরিষেবা ব্যবহার করে তা বানিয়েছে ফ্রান্সের বিখ্যাত রাফাল অ্যাডভান্স ডিফেন্স সিস্টেম।

(৫) কার্যকারিতা: নির্দিষ্ট ট্র্যাকিং রাডার, ব্যাটারির মাধ্যমে বছরের সব সময়তেই কার্যকর থাকে এই আয়রন ডোম। তবে নির্দিষ্ট একটি সহনশীলতা মাত্রা অতিক্রম করলে যার কার্যকারিতা নষ্ট হতে থাকে।

(৬) ইজরায়েলের দাবি, প্রতিপক্ষের ছোড়া রকেটের প্রায় ৯০ শতাংশই তারা আয়রন ডোমের সাহায্যে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।

(৭) দীর্ঘদিন ধরে গাজা প্রদেশ নিয়ে উত্তেজনার জেরে ২০১১ সালের ২৭ মার্চ ইজরায়েলের বীরসেবার কাছে প্রথম এই আয়রন ডোম বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসানো হয়।

(৮) আয়রন ডোম হল একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা ইজরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশকারী শত্রুপক্ষের মিসাইল বা ওই ধরনের অস্ত্র যেমন, আর্টিলারি, মর্টারকে ট্র্যাক করার পর ধ্বংস করে দেয়। আর শুধু তাই নয়, বিনা অনুমতিতে কোনও হেলিকপ্টার বা বিমানও যদি ইজরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশ করার চেষ্টা করে, তবে সেটিকেও আটকে দেয় এই আয়রন ডোম বা লোহার গোম্বুজ।

(৯) আয়রন ডোম তার আশেপাশে নূন্যতম ৪ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে পারে।

(১০) ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আয়রন ডোমের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ৭০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সীমা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করার জন্য কাজ চলেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
error: Content is protected !!