‘আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স কার্ডের’ মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানো যাবে

‘আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স কার্ডের’ মাধ্যমেই বিভিন্ন সেবা ব্যয় বিদেশে পাঠাতে পারবেন বাংলাদেশি গ্রাহকরা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যয়, সদস্য ফি, ভর্তি ফি,আবেদন ও রেজিস্ট্রেশেন ফি, বিদেশে পড়াশোনার ফি, চিকিৎসা ব্যয়, টিকেটের টাকা, ভিসা ও ল্যান্ডিং ফি, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনারসহ ১১ খাতের ফি পাঠানো যাবে। এখন থেকে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকের হয়ে বিদেশে অর্থ পাঠাতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। এতে অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ হয়েছে।

কোনো গ্রাহক বিদেশে অর্থ পাঠাতে চাইলে অথরাইজ ডিলার বা এডি শাখাগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার উৎস, কী উদ্দেশ্যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো হচ্ছে প্রভৃতি তথ্য ব্যাংকগুলোর কাছে গ্রাহককে দিতে হয়। এতে গ্রাহকের যেমন জবাবদিহিতা থাকে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্ত থাকা যায়। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা ব্যয় বিদেশে পাঠাতে হলে গ্রাহককে ব্যাংকের ফি পরিশোধ করতে হয়। আবার অনেক সময় ব্যাংক গ্রাহকের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে সময় ক্ষেপণ হয়।

কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে গ্রাহকের এক দিকে যেমন খরচ কমবে, অন্য দিকে সময় ক্ষেপণ হবে না। অর্থাৎ,যেকোনো মুহূর্তে গ্রাহক বিদেশে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অর্থ পাঠাতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় অর্থ পাচারেরও আশঙ্কা থাকবে।

ব্যাংকের নিজ নামে কার্ড ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার (৩১ মে,২০২১) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক সুইফট ম্যাসেজের মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেন করে থাকে। অপরদিকে এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে প্রবাসী আয় দেশে আসে। নতুন সার্কুলার জারি হওয়ার পর এখন থেকে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক নিজের নামে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স কার্ড ইস্যু করতে পারবে। এ কার্ড দিয়ে গ্রাহকরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওপরে উল্লিখিত খাতসমূহে টাকা সহজে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাঠাতে পারবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
error: Content is protected !!