নতুন ফ্রিজ ব্যবহারের ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম জেনে নিন:
(১) নতুন ফ্রিজ কয় ঘন্টা পর চালু করবেন?
বাসায় ফ্রিজ এনে সাথে সাথে ফ্রিজে লাইন দিয়ে অন করবেন না। কারণ ফ্রিজ যখন গাড়িতে থাকে তখন ফ্রিজের ভিতরে থাকা গ্যাস গাড়ির ঝাকুনি খেয়ে সংকুচিত হয়। ফলে সাথে সাথে লাইন দিলে গ্যাস লাইন বন্ধ হয়ে ফ্রিজের সমস্যা হতে পারে। এজন্য অন্তত ৩ ঘন্টা পর ফ্রিজে কারেন্ট লাইন দিন।
(২) ফ্রিজে মাল্টিপ্লাগ ব্যবহারে সাবধান!
নতুন ফ্রিজ কিনে এনে মাল্টি প্লাগে ফ্রিজ অন করে ব্যবহার করবেন না, কারণ এভাবে ফ্রিজ ব্যবহার করলে দুই এক দিনের মধ্যে ফ্রিজের মাল্টিপ্লগ গরম হয়ে পুড়ে যেতে পারে।এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে ফ্রিজের জন্য একটা কম্মাইন সহ 3/20 তারের ডাইরেক্ট বোর্ড সংযোগ করে ফ্রিজ চালু করতে হবে।
(৩) ভোল্টেজ স্টাবিলাইজারের ব্যবহার করুন:
ফ্রিজে ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার ব্যবহার করলে ফ্রিজের নিরাপত্তা অনেক গুণে বৃদ্ধি পায়।তাই একটি ভালো মানের ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার কিনে নিন।
(৪) প্লাগে লুজ কানেকশন রাখবেন না :
কখনো মাল্টিপ্লাগে লুজ কানেকশন রাখবেন না।দরকার হলে আপনার টেকনিশিয়ান কে দিয়ে কানেকশন টাইট করে নিন। কম্মাইন টাইট না করা গেলে পরির্বতন করে ফেলুন।
(৫) ফ্রিজের বডি গরম হচ্ছে কি-না দেখুন:
ফ্রিজে কারেন্ট লাইন দেওয়া পর- ইনার কন্ডেন্সার যুক্ত ফ্রিজের বডি গরম হতে থাকে সেজন্য আপনি বডিতে (সাইডে) হাত দিয়ে দেখুন গরম হচ্ছে কি-না। কারণ ফ্রিজের বডি গরম হলে ভিতর ঠান্ডা হবে। এভাবে অন্তত ৩ ঘন্টা ফ্রিজ ফাঁকা রেখে নতুন ফ্রিজ ঠান্ডা করুন।
হ্যাঁ, এই ৩ ঘন্টা ফ্রিজ চালাবেন গতি বাড়িয়ে ।যেমন সর্বোচ্চ ৯ দেয়া থাকলে আপনি চালাবেন ৭ এ রেখে। এরপর গ্রিষ্মকাল হলে ৪-৫ এ চালাবেন আর শীতকালে ২-৪ এ চালাবেন আপনার প্রয়োজনমত।
বর্তমানে সব ফ্রিজে অটো থার্মোস্ট্যাট ব্যবহার করা হয় ফলে প্রয়োজন মত টেম্পারেচার নিয়ে অটোমেটিক বন্ধ হয় আবার চালু হয়। মনে রাখবেন এটা কোন সমস্যা নয়।
(৬) ফ্রিজ রাখার উপযুক্ত স্থান নির্বাচন:
নতুন ফ্রিজ কিনে আনার পর ফ্রিজ রাখার একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করুন। এমন জায়গা নির্বাচন করবেন যেখানে ফ্রিজ রাখলে নড়া চড়া করবে না আবার দেওয়ালের সাথে ঘেষে থাকবে না। সব সময় ফ্রিজ দেওয়াল থেকে একটু দুরে স্থাপন করুন। ফ্রিজ খোলামেলা জায়গাতেই রাখুন যেমন- ডাইনিং রুম, তাই বলে গরম স্থান বা রোধে রাখা যাবে না আবার ফার্ণিচারের সাথে লাগিয়ে রাখা যাবে না।