একনজরে ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের নিয়ম

(১)  শাকসবজি কিংবা ফলমূল সবকিছুই ভাল মতো ধুয়ে এবং পানি ঝড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন। তাহলে ফ্রিজে গন্ধ হবে না।

(২)কাঁচা সব্জি প্যাকেটে মুড়ে না রাখলে তার থেকে আর্দ্রতা চলে যায়। ফলে সবজি শুকিয়ে যায়।তাই পলিথিন ব্যাগে রাখুন।

(৩) ডিপ-ফ্রিজে ফল বা তরকারি রাখা উচিত নয়। এতে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।

(৪) গরম খাবার কখনও ফ্রিজে রাখবেন না। রান্না করা খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তারপর ফ্রিজে রাখুন।

(৫) ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে রান্না করা খাদ্য ঢাকনা যুক্ত পাত্রে রাখুন এতে ফ্রিজ ও খাদ্য খারাপ গন্ধ

হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

(৬) অনেকের ধারণা, ঠান্ডা জল খেলে মোটা হয়ে যায়। কিন্তু ঠাণ্ডা জলে কোনও ক্যালোরি নেই। তাই মোটা হওয়ার ভয় নেই।

(৭) ফ্রিজের খাবার সব সময় ঢাকা দিয়ে রাখবেন। নইলে বিভিন্ন খাবারের গন্ধ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।

(৮) ডিপ-ফ্রিজে একসাথে অনেক খাদ্যদ্রব্য দিয়ে পূর্ন না করে ধাপে ধাপে খাদ্য ফ্রিজে রাখুন এবং কোরবানির মাংস একসাথে না রেখে ছোট ছোট পলি করে ধাপে ধাপে ফ্রিজে রাখুন। কোরবানির মাংস রাখার পর থেকে ১২ ঘন্টা পরপর মাংস উপর নিচ উল্টিয়ে দিন এতে দ্রুত বরফ জমবে।

(৯) যেসব খাবার বা মাংস ডিপ-ফ্রিজে রাখতে চান তা ভাগ করে ছোট ছোট বক্সে ভরে এবং মাংস ছোট

ছোট পলি করে ডিপ-ফ্রিজে রেখে দিন। পরে প্রয়োজন বুঝে পরিমাণমতো ডিপ-ফ্রিজ থেকে

বের করতে পারবেন। কারন ডিপ-ফ্রিজের খাবার একবার বের করার পর দ্বিতীয়বার ফ্রিজ করা উচিত

নয়। 

(১০) যে কোনো সবজি প্লাস্টিকের প্যাকেটে রাখার চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকের প্যাকেটের মুখ ভালো মতো শক্ত করে বন্ধ করে দিন। এতে শাকসবজি ভালো ও টাটকা থাকবে। কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে দিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে মুখ বন্ধ করে রাখুন।

(১১) ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, লেটুস পাতা ইত্যাদি ফ্রিজে রাখার পরও শুকিয়ে যায়। এগুলোর গোড়া কেটে ফ্রিজে রাখুন। সহজে শুকাবে না।

(১২) টমেটো ও শসা এক প্যাকেটে না রেখে আলাদা আলাদা প্যাকেটে রাখুন। অনেকদিন টাটকা থাকবে।

(১৩) ডিম রাখার সময় ডিমের মোটা দিকটা নিচের দিক করে রাখলে ডিম অনেকদিন ভালো থাকে।

(১৪) ফ্রিজে কোনো খাবার রেখে বের করার পর একবারেই গরম করে খেয়ে নিন। বারবার  গরম  ও ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখলে ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

(১৫) মাছ-মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চর্বি ও ময়লা ফেলে দিয়ে তারপর রাখুন ফ্রিজে। প্রতিদিনের জন্য আলাদা আলাদা করে ভাগ করে রাখলে ঝামেলা কম হবে।

(১৬) ফ্রিজের উপর কখনও ভারি জিনিস রাখবেন না।

(১৭) ফ্রিজে খাবার আলগা রাখবেন না। এতে এক খাবারের গন্ধ ছড়িয়ে পরে অন্য খাবারে। রান্না করা খাবার এয়ারটাইট কনটেইনারে ঢুকিয়ে ফ্রিজে রাখুন।

(১৮) গরম খাবার কখনও ফ্রিজে রাখবেন না। রান্না করা খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে তারপর রাখুন ফ্রিজে।

(১৯) ফ্রিজ পরিষ্কার করার আগে বন্ধ করে নিন। বরফ গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ফ্রিজের ট্রে, ড্রয়ার ও অন্যান্য অংশ খুলে বের করে নিন। হালকা কুসুম গরম পানিতে লিকুইড সোপ মিশিয়ে খুলে রাখা তাক,ড্রয়ারসহ ভেতরের অংশগুলো পরিষ্কার করুন। ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করার জন্য ভিনেগার বা মাইল্ড ধরনের ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। শেষে ঠাণ্ডা পানিতে সবকিছু ধুয়ে খুব ভালো করে মুছে নিন। চালু করার ১৫ মিনিট পর ফ্রিজে খাবার রাখবেন।

(২০) বছরে একবার ইলেকট্রিক সংযোগ বন্ধ করে ফ্রিজের পিছনে বা নিচে থাকা কয়েল পরিষ্কার করুন। নরম ব্রাশ বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন কয়েল।

(২১) রান্না করা খাবার বার বার বের করে গরম করে আবার ফ্রিজে যেন ঢোকাতে না হয় সেজন্য আলাদা পাত্রে খাবার রাখবেন।যাতে নির্দিষ্ট কোনও দিনের জন্য যেটুকু দরকার, সেটাই বাইরে বের করা হয়।

(২২) শাকসব্জি বা ফল ফ্রিজে বেশ কিছু দিন রেখে খেলে তার থেকে খানিকটা ভিটামিন-মিনারেল কমে যায়।

(২৩) মাছ-মাংস ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে। তবে ৩-৪ দিনের বেশি রাখা উচিত নয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
error: Content is protected !!