শামুক-ঝিনুক থেকে চুন প্রস্তুত প্রণালি:
শামুক-ঝিনুকের খোলস পুড়িয়ে এই চুন তৈরি করা হয়। প্রথমে শামুক-ঝিনুকের খোসা রোদে শুকানো হয়। এরপর মাটির তৈরি চুলার তলদেশে বিছানো হয় ইট। পরে ইটের ওপরে বিছানো হয় মাটির ভাঙা হাঁড়ির টুকরো। ছোট ছোট কাঠের টুকরো ব্যবহার করা হয় আগুন ধরানোর জন্য। এরপর ঝুড়ি ভরে শামুক ফেলানো হয়। এরপর আবার এক স্তর ছোট ছোট কাঠের টুকরো রাখা হয়। পরে আবার শামুক ফেলা হয়। এভাবে চুলাটা পুরো ভরে ফেলে আগুন দেওয়া হয়। আগুনের ধোঁয়া কাঠের স্তরে স্তরে ছড়িয়ে পড়ে; আর ধোয়া সরবরাহ করার জন্য চুলার নিচে এক পাশে ফাঁকা অংশ থাকে, সেখান থেকে বাতাস দিয়ে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এভাবে ২০-২৫ মিনিট করার পরেই শামুক-ঝিনুক নামিয়ে ফেলা হয়। আসলে এখানে ক্যালসিয়াম কার্বনেটকে আগুনের তাপে ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা কুইকলাইম তৈরি করা হয়। পরে এই ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা কুইকলাম চূর্ণ করে চালুনি দিয়ে ছেঁকে একটা মাটির গর্তে রাখা হয়। মাটির গর্ত লেপা থাকে। পরে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ২-৩ ঘণ্টা বাঁশের হাতা দিয়ে নাড়লেই সাদা ধবধবে প্রাকৃতিক চুন পাওয়া যায়। সাদা আরও বেশি করার জন্য বিচি কলার রস দেওয়া হয় এই চুনে। এরপর চুনগুলো নেটের কাপড় দিয়ে ছেঁকে একটা পাত্রে রাখা হয়। পরে প্যাকেটজাত করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়।