একনজরে মাছির অবাক করা তথ্য!

(১) মাছি  Diptera বর্গের একদল পতঙ্গের সাধারণ নাম। প্রকৃত মাছিরা Brachycera উপবর্গের সদস্য এবং এদলে আছে ঘরের সাধারণ মাছি, ডাঁশ, ফলের মাছি (Fruit fly), সেটসি (Tsetse) মাছি ইত্যাদি।ডিপ্টেরা একটি বৃহৎ বর্গ, প্রায় ২৪০,০০০ প্রজাতিবিশিষ্ট। সহজে বলা যায়, মাছি ডিপ্টেরা বর্গভুক্ত একটি পতঙ্গ।

(২) মাছির এক জোড়া পাখাই একে মাছি জাতীয় অন্যান্য পতঙ্গ (যেমন: ফড়িং, ঘাসফড়িং, প্রজাপতি ইত্যাদি) থেকে আলাদা করেছে।

(৩) বাংলাদেশে সাধারণ মাছি প্রজাতির মধ্যে আছে ঘরের মাছি (House fly, Musca domestica), ছোট মাছি (Lesser house fly, Fannia canicularis), দংশনকারী মাছি (Stable fly, Stomoxys), নীলমাছি বা ব্লোফ্লাই (Blue bottle or Blow fly, Calliphora species), গ্রীনবটল ফ্লাই (Green bottle fly, Lucilia species), ফ্লেশফ্লাই (Flesh fly, Sarcophaga species) ইত্যাদি। ঘরের বাইরে মাছিদের মধ্যে রয়েছে: কালো মাছি (Black fly), ডিয়ার ফ্লাই (Deer fly, Chrysops), ঘোড়ামাছি (Horse fly), হোবারমাছি (Hover fly), ক্রেন ফ্লাই (Daddy long leg or Crane fly) ইত্যাদি। বালিমাছি (Sand fly, Phlebotomus) ঘরের ভেতরে এবং বাইরেও থাকে।

(৪) ক্ষতিকারক হিসেবেই মাছি অধিক পরিচিত। ঘরের মাছি কলেরা ও টাইফয়েডের জীবাণু ছড়ায়। ফলের মাছি ফল ও সবজির ক্ষতি করে। কিছু মাছি ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের পরজীবী বিধায় উপকারী। কোন কোনটি ফুলের পরাগায়ণ ঘটায়।

(৫) স্যাঁতসেঁতে নোংরা আবর্জনা মাছিদের প্রজননক্ষেত্র।

(৬) বালিমাছি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি সর্বত্র বিদ্যমান এবং স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার ও নোংরা জায়গায় বংশবৃদ্ধি করে।

(৭) সহজে মাছি না মারতে পারার রহস্য:

এর আসল রহস্য হচ্ছে মাছির চোখে। কিন্তু কীভাবে?

আমাদের চোখ প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টি স্থির ছবি আমাদের ব্রেইনে পাঠায় তারপরে ব্রেইন সেগুলোকে একত্র করে আমাদের চলমান দুনিয়া দেখায়। কিন্তু একটি মাছির চোখ প্রতি সেকেন্ডে ২৫০ টি ফ্ল্যাশ বা ছবি তার ব্রেইনে পাঠায়। মাছির ব্রেইন যখন সেগুলোকে চলমান করে তোলে তখন সে আসলে আমাদের তুলনায় সব কিছু খুব ধীর গতিতে দেখে, যাকে আমরা স্লো মোশন বলি।

যখন আমরা একটি মাছিকে মারতে যাই তখন আমরা এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে মাছিটিকে আক্রমণ করি। এখন আমরা প্রতি সেকেন্ডে ৬০ টি ফ্রেম দেখার কারণে এই কাজটি আমাদের কাছে অনেক দ্রুত মনে হয়। কিন্তু মাছির কাছে আমাদের এই কাজটি, মানে তার দিকে তেড়ে যাওয়া খুবই ধীর মনে হয়। তাই আমরা মাছিদের আঘাত করার অনেক আগেই তারা উড়ে চলে যেতে পারে।(মাছির মত মশার এই বিশেষ ক্ষমতা নেই সেজন্য তারা এত সহজেই উড়ে যেতে পারেনা, এজন্যই মশা মারা সহজ কিন্তু মাছি মারা কঠিন।)

(৮) খাবার গলিয়ে ফেলতে তার ওপর বমি করে মাছি!

তরল পদার্থ ছাড়া মাছি কিছু খেতে পারে না। তার মুখগহ্বরের সামনে থাকে স্পঞ্জের মতো নরম অংশ, যা দিয়ে তরল শুষে নিতে সুবিধে হয়। এই কার​ণে তরল খাদ্যের প্রতিই মাছির নজর থাকে। এমনকি কোনও আপাত শক্ত খাদ্যবস্তুর ওপর এসে বসলেও তাকে তরলে পরিণত করে সে। শক্ত খাদ্যকে তরলে পরিণত করতে তার ওপর বমি করে মাছি। সেই বমিতে থাকে প্রয়োজনীয় হজমকারী উত্‍‌সেচক, যা কঠিন খাবারকে তরলে পরিণত করতে সাহায্য করে। একবার খাবার নরম হয়ে গেলে মাছি তার মুখের সাহায্যে তা শুষে নেয়।

 (৯) খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য পা-কে কাজে লাগায় মাছি। মানুষের জিভের তুলনায় এক কোটি গুণ বেশি সংবেদনশীল মাছির পা। খাবারের স্বাদ পেতে পায়ের মধ্যে থাকা কেমোসেনসিলিয়া নামের এক ধরণের টেস্ট রিসেপ্টর্সকে কাজে লাগায় এই পতঙ্গ। জঞ্জাল, বিষ্ঠা বা মানুষের খাদ্য, উড়ে এসে নিশানার ওপর হেঁটে বেড়ায় মাছিষ এই ভাবেই সেই জিনিসের স্বাদ সে চেখে দেখে।

(১০) তরল খাদ্য গ্রহণ করার কারণে তা চটপট হজমও হয়ে যায়। এর ফলে প্রতিদিন অসংখ্য বার মলত্যাগ করে মাছি। যখনই কোনও খাদ্যবস্তুর ওপর এসে বসে, তখনই সে মলত্যাগ করে। অর্থাত্‍ যেখানে সে খায়, সেখানেই বমি ও মলত্যাগ করা মাছির অভ্যাস।

★(১১) যেহেতু নোংরা জায়গা মাত্রই মাছির পছন্দসই, সেই কারণে বেশ কিছু রোগের জীবাণু সে সর্বদা বহন করে চলে। প্রতিটি সাধারণ মাছির শরীরে প্রায় ২০ লক্ষ ব্যাক্টেরিয়া থাকে। কলেরা, আমাশা, জিয়ারডিয়াসিস, টাইফয়েড, কুষ্ঠ, কনজাংক্টিভাইটিসের মতো প্রায় ৬৫ রকম রোগ মাছির দ্বারা সংক্রামিত হয়।

(১২) মাছির প্রজনন সীমা বিস্ময়কর। স্বাভাবিক পরিবেশে প্রতিটি মাছির আয়ু ৬ দিন। কিন্তু এই স্বল্প জীবনকালের মধ্যেই প্রতি বার একসঙ্গে ১২০টি ডিম পাড়ে স্ত্রী মাছি। আবহাওয়া ও তাপমাত্রাজনিকত কারণে অবশ্য এই প্রজনন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত হয়। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রজনন ও আয়ুর সীমাবদ্ধতা না থাকলে মাত্র ৫ মাসে একটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ মাছি মোট ১৯১,০১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হত, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর আপাদমস্তক কয়েক মিটার মাছির নীচে চাপা পড়ে যেত।

(১৩) সুকুমার রায়ের এই ছড়াটির শেষ লাইনে দুটি শব্দের মধ্যে মাছির বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।ছোট্ট এই প্রাণীটি আওয়াজ তোলে ভনভন।

চলে হনহন্     ছোটে পনপন্

ঘোরে বনবন   কাজে ঠনঠন্

বায়ু শনশন্     শীতে কনকন্

কাশি খনখন্    ফোড়া টনটন্

মাছি ভনভন্     থালা ঝনঝন্

(১৪) পৃথিবীতে প্রায় লক্ষাধিক প্রজাতির মাছি আছে।

(১৫) মাছি কীভাবে রোগজীবাণু ছড়ায়?

মাছির স্বাদ-ইন্দ্রিয় রয়েছে তার পায়ের তলায়। কোনো কিছুর উপর বসলেই সে বুঝতে পারে কোন খাবারের কী স্বাদ! মাছির সারা শরীর, পায়ে সূক্ষ্ম ছোট ছোট লোম আছে। আবর্জনায় বসলে এই লোমের ভেতরে জীবাণু আটকে যায়। আবার এদের পায়ের তলায় একধরনের আঠালো প্যাড আছে। মাছি যখন ময়লা-আবর্জনার উপর বসে, তখন সেখান থেকে রোগজীবাণু তার পায়ে ও গায়ে লেগে যায়।তারপর যখন খাবারের উপর বসে তখন সেই খাবার দূষিত হয়ে যায়। আবার মাছি যে প্যাডের মতো অঙ্গ দিয়ে খাবার শুষে নেয়, সেখানেও জীবাণু থাকে। তাই মাছি-বসা খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। সাধারণত টাইফয়েড, যক্ষা, ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদি রোগ ছড়াতে মাছি ওস্তাদ। বিজ্ঞানীদের ধারণা একটি মাছি প্রায় ১৯ লক্ষ ৪০ হাজার ধরনের ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে।

(১৬) মাছি কীভাবে খাবার খায়?

খাবারে কামড় দিলাম আর চিবিয়ে খেয়ে ফেললাম, এমন সহজ নয় মাছির খাবার খাওয়া। মাছি প্রথমে খাবারের উপর বমি করে। এই বমি হল লালা, হজমি ও পাচকরসের মিশ্রণ। এই পাচকরস খাবারকে একধরনের গলিত মিকশ্চার-এ (মিশ্রণ) পরিণত করে। এরপর মাছি তার মুখের বিশেষ ধরনের অঙ্গ, যা কিনা অনেকটা স্পঞ্জের মতো কাজ করে, তা দিয়ে খাবার শুষে নেয়।

(১৭) মাছির গোসল:

ময়লা-আবর্জনার মধ্যে ঘুরে বেড়ালেও মাছি কিন্তু নিজে অপরিষ্কার থাকে না। খেয়াল করলে দেখতে পাবে, মাছি মাঝেমধ্যে পায়ের সঙ্গে পা ঘষে। একেই মাছির গোসল বলা যেতে পারে। মাছি যখন ময়লা-আবর্জনায় বসে, তখন তার পায়ে ময়লা লেগে যায়। ময়লা পরিষ্কার করার জন্যই সে পায়ের সঙ্গে পা ঘষে।

(১৮) মাছির ডিম:

স্ত্রী-মাছি ডিম পাড়ে। একটি স্ত্রী-মাছি একবারে প্রায় ১০০ ডিম পাড়ে। মাটি, প্রাণীদের দেহ, গাছপালা, খাদ্যদ্রব্য বা মৃত প্রাণী তথা যে কোনো কিছুর উপরই সে ডিম পাড়তে পারে। ডিম পাড়ার ১২ থেকে ৩০ ঘণ্টার মধ্যে  ডিম ফুটে লার্ভা বের হয় এবং কিছুদিনের মধ্যেই সেটি পূর্ণবয়স্ক মাছিতে পরিণত হয়। মাছি সাধারণত ৩০ দিন বাঁচে। এর মধ্যে সে অন্তত এক হাজার ডিম পাড়ে।

(১৯) মাছি ভালো উড়তে পারে:

বেশিরভাগ কীটপতঙ্গের পাখা থাকে চারটি। কিন্তু মাছির পাখা দুটি। মাছি যে খুব ভাল উড়তে পারে তা তাদের ধরতে গেলেই টের পাওয়া যায়। সামনে-পিছে যাওয়া, ভেসে থাকা ও পাক খাওয়া– এর সবগুলোতেই মাছি খুব দক্ষ। সে উপরের দিকেও হাঁটতে পারে। লোমশ ও আঠালো পা আছে বলে মাটি অথবা মসৃণ যে কোনো জায়গায় স্বচ্ছন্দে হাঁটাচলা করতে তার অসুবিধা হয় না।

(২০) মাছিমারা কেরানি:

বাংলায় প্রবাদ আছে ‘মাছিমারা কেরানি’। এই প্রবাদের পেছনকার গল্পটা জেনে নাও। এক ছিল কেরানি। হুবহু নকল করতে সে ছিল ভারি ওস্তাদ। একদিন মোটা একটি খাতার লেখা হুবহু নকল করে অন্য একটি খাতায় তুলছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল, খাতার মাঝের পৃষ্ঠায় একটি মাছি মরে লেগে আছে। সে ভাবল, লেখার উপরে ঠিক যেভাবে মাছিটা লেগে আছে, ঠিক ওরকম করে তাকেও লেখার উপরে একটি মরা মাছি লাগিয়ে দিতে হবে। সুতরাং এবার সে মাছিমারার কাজে লেগে গেল। কিন্তু মাছিমারা মোটেই সহজ নয়। বহু চেষ্টায় শরীরের ঘাম ঝরিয়ে অবশেষে সে একটা মাছি মেরে খাতায় লাগাতে পেরেছিল। এর থেকেই হুবহু নকল করতে ইচ্ছুক বোকা ব্যক্তিকে আমরা বলি– ‘মাছিমারা কেরানি’।

(২১) মাছিমারা সহজ নয় কেন? 

এর মূল কারণ হল, যেদিক থেকেই আক্রমণ করা হোক না কেন মাছি তা দেখতে পায় এবং ফাঁকি দিয়ে উড়ে যায়। এ ব্যাপারে তার চোখ সবচাইতে বড় সহায়ক। মাছির চোখকে বলা হয় পুঞ্জাক্ষি। পুঞ্জাক্ষি হল অনেকগুলো চোখ, যা একত্রে একটি চোখের আকার ধারণ করে। এতগুলো চোখ দিয়ে মাছি সবদিকই একসঙ্গে দেখতে পায়।

(২২) মাছি কেন প্রয়োজন:

মাছি আমরা যতই অপছন্দ করি না কেন, আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই পতঙ্গটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ময়লা আবর্জনা ও মৃত প্রাণী খেয়ে মাছি অনেক ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। সবচেয়ে বড় কথা, ফুলের পরাগায়নে অন্যান্য কীটপতঙ্গের মতো মাছিও সাহায্য করে।

(২৩) ফরমালিন থেকে সাবধান:

বাজারে শাকসবজি, মাছ ফলমূল ইত্যাদি তাজা রাখার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা ফরমালিন নামক রাসায়নিক দ্রব্য মেশায়। এতে মাছ বা শাকসবজিতে পচন ধরে না। কিন্তু ফরমালিন মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। শুধু মানুষ নয়, ফরমালিন মাছির জন্যও বিপদ ডেকে আনে। সাধারণভাবে মাছের গন্ধ পেলেই মাছিরা ছুটে আসে। কিন্তু মাছে ফরমালিন থাকলে মাছি তার ধারেকাছেও আসে না। তাই আজকাল মাছের আশপাশে মাছিকে ওড়াউড়ি করতে দেখলে ক্রেতা খুশিই হয়। তারা ভাবে, এই মাছে ফরমালিন নেই।

(২৪) মাছির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে আমেরিকান গবেষকরা বলছেন ঘরের মাছি আর নীল মাছি মিলে ৬০০য়ের বেশি বিভিন্নধরনের রোগজীবাণু বহন করে।

এর মধ্যে অনেক জীবাণু মানুষের শরীরে সংক্রমণের জন্য দায়ী, যার মধ্যে রয়েছে পেটের অসুখের জন্য দায়ী জীবাণু, রক্তে বিষক্রিয়া ঘটায় এমন জীবাণু এবং নিউমোনিয়ার জীবাণু।

পরীক্ষায় দেখা গেছে মাছি এসব জীবাণু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়ায় তাদের পা আর ডানার মাধ্যমে। গবেষকরা বলছেন মাছি তার প্রত্যেকটি পদচারণায় লাইভ জীবাণু ছড়াতে সক্ষম।

(২৫) গবেষণায় ডিএনএ বিন্যাস পদ্ধতি ব্যবহার করে ঘরের মাছি ও নীল মাছির শরীর থেকে সংগ্রহ করা আণুবীক্ষণিক জীবাণু পরীক্ষা করে দেখা হয়।

দেখা যায় ঘরের মাছি যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই রয়েছে তা ৩৫১ ধরনের রোগজীবাণু বহন করে।

(২৬) প্রফেসর ব্রায়ান্টবলেন, ”খোলা জায়গায় অনেকক্ষণ পড়ে থাকা খাবারটা আপনি খাবেন কীনা, এটা কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।”

(২৭) ঘরের মাছি অস্বাস্থ্যকর একথা নতুন নয়। তারা আবর্জনাস্তুপে উড়ে বেড়ায়। পচা খাবার, মরা জীবজন্তুর দেহ এবং বর্জ্য পদার্থই তাদের চারণভূমি। মানুষের শরীরে নানাধরনের রোগব্যাধি এমনকী জীবজন্তু ও গাছের মধ্যেও নানা রোগ ছড়ানোর কারণ মাছি।

মরা পশুপাখির শরীরের কাছে বেশি নীল মাছি উড়তে দেখা যায়। শহর এলাকায় নীল মাছি চোখে পড়ে বেশি। মাংসের দোকান, পশু জবাইয়ের জায়গা এবং আবর্জনাস্তুপের কাছে নীল মাছির উপদ্রব বেশি।

(২৮) মাছির চোখ কয়টি?

★মাছির মূলত পাঁচটি চোখ থাকে। একজোড়া যৌগিক সাধারণ চক্ষু এবং ত্রিভুজের মতো তিনদিকে তিনটি ছোট চক্ষু।

★মাছির চক্ষু পাঁচটি যেখানে এর এক জোড়া বড় পুঞ্জাখি বা যৌগিক চোখ এবং বাকি তিনটি চোখ ছোট যা থাকে ঐ এক জোড়া চোখের মাঝে কপালের অংশে। এদের ওসেলি বলা হয়।

(২৯) মাছি মিনিটে ৮ কিলোমিটার উড়তে পারে।

(৩০)               

মাছির চোখে পৃথিবী খানিকটা শ্লথগতিতে ঘোরে।

ছবি: ব্রাইট সাইড

বহুমুখী দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন প্রাণী হলো মাছি। হাজারের ওপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চোখ একই সময়ে একসঙ্গে কাজ করে একটা দৃশ্যপট তৈরি করে, আর মাছি সেটাই দেখতে পায়। তারা অতি বেগুনি রশ্মিও দেখতে পায়, যদিও মানুষের তুলনায় মাছির চোখে পৃথিবী খানিকটা শ্লথগতিতে ঘোরে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
error: Content is protected !!