একনজরে লাভ-ক্ষতির অঙ্ক করার টেকনিক

একনজরে লাভ-ক্ষতি অংকের খুঁটিনাটি

লাভ-ক্ষতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

ব্যবসায়ের সাথে লাভ-ক্ষতি বিষয়টি জড়িত। ব্যবসা করতে গেলে লাভ বা ক্ষতি হতে পারে।

★ ক্রয়মূল্য (Cost price সংক্ষেপে C.P):

কোন দ্রব্য কেনার সময় বা তৈরি বা উপাদান করার সময় যে ব্যয় হয়,তাকে ক্রয়মূল্য (cost price) বলে।

★ বিক্রয়মূল্য (Selling Price সংক্ষেপে S.P):

কোন দ্রব্য বিক্রয় করলে যে দাম পাওয়া যায়,

তাকে বিক্রয়মূল্য (selling price) বলে।

★ লাভ/ মুনাফা (Profit/Gain):

ক্রয়মূল্য অপেক্ষা বিক্রয়মূল্য বেশি হলে লাভ হয়। ক্রয়মূল্য অপেক্ষা বিক্রয়মূল্য যে পরিমাণ বেশি হয়, সে পরিমাণকে লাভ (Profit) বলা হয়।

★ ক্ষতি/ লােকসান (Loss):

ক্রয়মূল্য অপেক্ষা বিক্রয়মূল্য কম হলে ক্ষতি হয়। বিক্রয়মূল্য অপেক্ষা ক্রয়মূল্য যে পরিমাণ বেশি হয়, সে পরিমাণকে ক্ষতি বা লােকসান (Loss) বলা হয়।

★ লাভ/ক্ষতির বাস্তব উদাহরণ: 

বিক্রয় মূল্য ক্রয়মূল্য অপেক্ষা বেশি হলে লাভ হয় এবং বিক্রয়মূল্য ক্রয়মূল্য অপেক্ষা কম হলে ক্ষতি হয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় কোনাে ফার্নিচার ব্যবসায়ী যদি ৮০০ টাকা দিয়ে একটি চেয়ার ক্রয় করে ১০০০ টাকা দিয়ে বিক্রয় করে তাহলে তার ২০০ টাকা লাভ হবে।অপরপক্ষে সে যদি ৮০০ টাকা দিয়ে চেয়ারটি ক্রয় করে ৭০০ টাকায় বিক্রয় করে তাহলে তার ১০০ টাকা ক্ষতি হবে। অতএব সংক্ষেপে বলা যায়:

★ মােট লাভ = বিক্রয় মূল্য – ক্রয় মূল্য

               = ১০০০ – ৮০০ 

               = ২০০

★ মােট ক্ষতি = ক্রয় মূল্য – বিক্রয় মূল্য 

                = ৮০০ – ৭০০ 

                = ১০০ 

★ লাভ – ক্ষতির সম্পর্ক:

উপরের উদাহরণ থেকে একটা ব্যাপার বোঝা যাচ্ছে যে ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যকার সম্পর্ক থেকেই লাভ ও ক্ষতি পাওয়া যায় বা হিসাব করা হয়।

★★★ গুরুত্বপূর্ণ কথা:

(১) লাভ বা ক্ষতি সবসময় ক্রয় মূল্যের (বিনিয়ােগকৃত অর্থের) উপর হিসাব করা হয়।

(২) ১০০ টাকায় যে লাভ হয় তাকে শতকরা লাভ বলা হয়।

(৩) ১০০ টাকায় যে ক্ষতি হয় তাকে শতকরা ক্ষতি বলা হয় ।

(৪) তুলনা করার জন্য লাভ বা ক্ষতি শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়।

(৫) লাভ-ক্ষতির শতকরা হিসাব সব সময়

ক্রয়মূল্যের উপর করা হয়।

(৬) সবসময় ক্রয়মূল্য থেকে লাভ বা ক্ষতি বের করতে হয়।

★★★লাভ-ক্ষতির গুরুত্বপূর্ণ সূত্রসমূহ:

★★ লাভের ক্ষেত্রে:

(১) লাভ/মুনাফা = বিক্রয়মূল্য – ক্রয়মূল্য

(২) বিক্রয়মূল্য = ক্রয়মূল্য + লাভ

(৩) ক্রয়মূল্য = বিক্রয়মূল্য – লাভ

★★ ক্ষতির ক্ষেত্রে:

(১) ক্ষতি/লােকসান = ক্রয়মূল্য – বিক্রয়মূল্য

(২) ক্রয়মূল্য = বিক্রয়মূল্য + ক্ষতি

(৩) বিক্রয়মূল্য = ক্রয়মূল্য – ক্ষতি

★★ শতকরা লাভ ও শতকরা ক্ষতি:

আমারা জানি যে কোন সংখ্যার সম্পর্ককে 100 এর নিরিখে পরিমাপ করাকে শতকরা বলা হয়। আমরা সাধারণত লাভ বা ক্ষতি বোঝার জন্য শতকরা হিসাব ব্যবহার করি। এক কথায় বলা যায়, তুলনা করতে লাভ বা ক্ষতি শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়।

★ শতকরা লাভ (Gain Percent):

কোন দ্রব্য থেকে ১০০ টাকায় যে লাভ হয় তাকে বলা হয় শতকরা লাভ।

★ শতকরা ক্ষতি (Loss Percent):

কোন দ্রব্য থেকে ১০০ টাকায় যে ক্ষতি হয় তাকে বলা হয় শতকরা ক্ষতি।

★ বিনিয়ােগ (Investment):

ব্যবসায়ী বা দ্রব্য প্রস্তুতকারী কর্তৃক দোকান বা গুদাম ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, মালের পরিবহণ খরচ,কুলিভাড়া ইত্যাদি আনুষঙ্গিক খরচ দ্রব্যের ক্রয়মূল্যের সাথে যােগ করে প্রাপ্ত প্রকৃত খরচকে বলা হয় বিনিয়ােগ। এটাই লাভ বা ক্ষতি নির্ধারণের জন্য ক্রয়মূল্য হিসেবে ধরা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
error: Content is protected !!