এক নজরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

(১) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন:

★ ইংরেজি: ১৭ মার্চ, ১৯২০ সালে (মঙ্গলবার) রাত ৮ ঘটিকার সময়।

★ বাংলা : ০৪ চৈত্র, ১৩২৬ বঙ্গাব্দ।

★ আরবি : ২৭ জামাদিউস সানী, ১৩৩৮ হিজরি।

★ বঙ্গবন্ধু জন্মগ্রহণ করেন → তৎকালীন ফরিদপুর জেলায়।

★ বঙ্গবন্ধুর জন্মগ্রহণ করেন → বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলায়।

★ গ্রাম: টুঙ্গীপাড়া, ইউনিয়ন : পাটগাতী।

★ বঙ্গবন্ধু শাহাদাত বরণ করেন:

★ ইংরেজি : ১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫ সালে (শুক্রবার, ৫৫ বছর)। 

★ বাংলা : ২৯ শ্রাবণ, ১৩৮২ বঙ্গাব্দ।

★ আরবি : ০৮ শাবান,১৩৯৫ হিজরি।

★★ জাতীয় শোক দিবস → ১৫ আগস্ট।

(২) বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম → শেখ লুৎফর রহমান।

★ বঙ্গবন্ধুর পিতা ছিলেন গােপালগঞ্জ আদালতের  সেরেস্তাদার (যারা আদালতের নথিপত্র সংরক্ষণ করেন)।

(৩) বঙ্গবন্ধুর মাতার নাম → সায়েরা খাতুন।

(৪) বঙ্গবন্ধুর দাদার নাম → শেখ আব্দুল হামিদ।

(৫) বঙ্গবন্ধুর নানার নাম → শেখ আব্দুল মজিদ।

★★  শেখ মুজিবুর রহমানের দাদা এবং নানা আপন ভাই ছিলেন এবং মা ও বাবা চাচাতাে ভাই বােন ছিলেন।

(৬) শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্ব-পুরুষরা ছিলেন ইরাক থেকে আগত দরবেশ → শেখ আউয়ালের বংশধর।

(৭) বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম ছিল → খোকা (বাবা-মা আদর করে ডাকতেন)।

(৮) বঙ্গবন্ধুকে এলাকার মানুষ ডাকতো → ‘মিয়া ভাই’ বলে।

(৯) বঙ্গবন্ধুকে বন্ধুরা  ডাকতো → ‘মুজিব ভাই’ বলে।

(১০) ‘মুজিব’ অর্থ → উত্তরদাতা। তাঁর নানা শেখ আবদুল মজিদ এই নাম রাখেন।

(১১)  বঙ্গবন্ধুর প্রিয় খাবার ছিল → নিরামিষ। বেশি খেতেন কাঁচকলা, মাছ (কৈ, শিং, চিংড়ি)।

★ ★ বঙ্গবন্ধুর প্রিয় খেলা ছিল → ফুটবল (ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে খেলতেন)।

(১২) বঙ্গবন্ধুর উচ্চতা ছিল → ৫ ফিট ১১ ইঞ্চি।

(১৩) বঙ্গবন্ধুরা মোট → ২ ভাই ৪ বোন। ছয় ভাইবোনদের মধ্যে তিনি ছিলেন ৩য় সন্তান।

(১৪) বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাইয়ের নাম → শেখ আবু নাসের।

(১৫) বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা → শেখ হাসিনা

(১৬) বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম → শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব (ডাক নাম রেনু)

★ বঙ্গবন্ধু ১৯৩৩ সালে ১৩ বছর বয়সে বেগম ফজিলাতুন্নেছার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় বেগম ফজিলাতুন্নেছা (রেণু) এর বয়স ছিল মাত্র ৩ বছর। তবে বঙ্গবন্ধু ফুলশয্যা করেন ১৯৪২ সালে। 

★ বেগম ফজিলাতুন্নেছার জন্ম ৮ আগষ্ট, ১৯৩০ এবং মৃত্যু ১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫ সালে।

★ বঙ্গবন্ধুর  ৫ সন্তান: শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।

(১৭) বঙ্গবন্ধু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের → আইন বিভাগের ছাত্র।

(১৮) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন → রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সােহরাওয়ার্দী উদ্যান)

(১৯) ‘বঙ্গবন্ধু জাদুঘর’ অবস্থিত → ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।

★ ১৯৯৭ সালে ঢাকার ধানমণ্ডির ৩২ নং রােডে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি → বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়। 

(২০) ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিভবন’ অবস্থিত → কলকাতা।

(২১) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত বেকার হােস্টেলের →  ২৪ নম্বর কক্ষকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে।

★ ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হােস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষটি → ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ’ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়।

★ ২০১১ সালে বেকার হোস্টেলের নবনির্মিত বর্ধিত ভবনকে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতিভবন’ হিসেবে ঘােষণা করা হয়।

★ বঙ্গবন্ধু বেকার হোস্টেলের ১৪ নম্বর কক্ষে ছিলেন → ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত।

★ বেকার হােস্টেল ছিল তৎকালীন ইসলামিয়া লজের → মুসলিম শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস। 

(২২) ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অফ ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অফ দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইয়ের মােড়ক উন্মােচন হয় → ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর।

(২৩)  ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ গ্রন্থে গােয়েন্দা প্রতিবেদন সূচনা হয় → ১৩ জানুয়ারি, ১৯৪৮ সাল থেকে।

(২৪) ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক ১৪ খণ্ডের বই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে → হাক্কানী পাবলিশার্স থেকে।

(২৫) বঙ্গবন্ধু চশমা ব্যবহার করেন → ১৯৩৬ সাল থেকে।

(২৬) ‘জাতীয় শিশু দিবস’ পালিত হয় → ১৭ মার্চ।

(২৭) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন → ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।

(২৮) বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন → ড, নীলিমা ইব্রাহিম।

(২৯) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেন → তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।

(৩০) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় → ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।

(৩১) ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয় → রেসকোর্স ময়দানে।

(৩২) বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন → ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সালে।

(৩৩) যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু বিজয়ী হন → গোপালগঞ্জ আসনে।

(৩৪) বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় → সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী ছিলেন।

(৩৫) বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরন করেন → ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সালে।

(৩৬) বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান → ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি।

(৩৭) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন → ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।

(৩৮) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস → ১০ জানুয়ারি।

(৩৯) বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন → ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।

(৪০) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের ২৯ তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন → ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।

(৪১) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ২১ জুন, ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘােষক বলে রায় দেয়।

(৪২) ১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় (শেখ আব্দুর রশিদ এম ই স্কুল) এ বঙ্গবন্ধু শৈশবে পাঠ শুরু করেন।

(৪৩) ১৯২৯ সালে গােপালগঞ্জ সীতানাথ একাডেমী (গােপালগঞ্জ পাবলিক স্কুল) এ তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।

(৪৪) ১৯৩৪ সালে ১৪ বছর বয়সে মাদারীপুর ইসলামিয়া হাই স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তিনি বেরিবেরি রােগে আক্রান্ত হন।

(৪৫) ১৯৩৬ সালে বঙ্গবন্ধু গ্লুকোমা রােগে আক্রান্ত হন।

(৪৬) অসুস্থতার কারণে ৩ বছর লেখাপড়া বন্ধ থাকার পর আবার শুরু করেন এবং ১৯৩৭ সালে ভর্তি হন গােপালগঞ্জ মাথুরানাথ মিশনারি স্কুলে।

★ বঙ্গবন্ধুর গৃহ শিক্ষক ছিলেন কাজী আব্দুল হামিদ এম.এস.সি। (তিনি ব্রিটিশ বিরােধী আন্দোলনের কর্মী ছিলেন। তার হাতে শেখ মুজিবের রাজনীতির হাতেখড়ি।)

★ শেখ মুজিব ১৯৩৯ সালে নবম ও ১৯৪০ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন। 

★ গােপালগঞ্জ শহরের রসরঞ্জন সেনগুপ্ত শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাইভেট শিক্ষক ছিলেন।

★ ১৯৪১ সালে জ্বর থাকায় এন্ট্রান্স (এস.এস.সি) পরীক্ষায় বাংলায় পাস করতে পারেননি।

★ ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স (এস.এস.সি) পাস করেন।

★ ১৯৪১ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন।

★ তিনি ১৯৪৭ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বি.এ পাস করেন ইতিহাস ও রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগ থেকে।

★ ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এখনো কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের বোর্ডে নাম রয়েছে বঙ্গবন্ধুর।

★ একই বছর (১৯৪৭) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ ক্লাসে ভর্তি হন। রােল নং ছিল ১৬৫ এস.এম (সলিমুল্লাহ মুসলিম) হল।

★ তিনি থাকতেন বেকার হােস্টেলের ২৪ নং কক্ষে।

★ ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের সরকার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিতে বেকার হােস্টেলের ২৩ নং রুম গ্রন্থাগার এবং ২৪ নং রুম মিউজিয়াম হিসেবে তৈরি করেছেন। 

★ বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন।

(৪৭) বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন → গােপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল থেকে। 

(৪৮) বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে → বি.এ পাস করেন।

(৪৯) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশবে পাঠ শুরু করেন → গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

(৫০) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন → ইসলামিয়া কলেজ, কলকাতা।

(৫১) ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেন → তোফায়েল আহমেদ।

(২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে)।

(৫২) ‘জাতির জনক’ উপাধি দেন → আ.স.ম. আব্দুর রব ৩ মার্চ, ১৯৭১ সালে পল্টন ময়দানে)।

(৫৩) ‘Poet of Politics’ বা ‘রাজনীতির কবি’ উপাধি দেন → আমেরিকার প্রভাবশালী ম্যাগাজিন Newsweek ( ৫ এপ্রিল, ১৯৭১সালে )।

(৫৪) ‘বিশ্ববন্ধু’ উপাধি দেন → মি. রমেশচন্দ্র (মহাসচিব, বিশ্ব শান্তি পরিষদ। ২৩ মে, ১৯৭৩ সালে জুলিও কুরি পুরস্কার নেয়ার সময়ে)।

(৫৫) ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’ → বিবিসির শ্রোতা জরিপে নির্বাচিত হন ২০০৪ সালে।

(৫৬) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম গ্রেফতার হন → ১৯৩৮ সালে।

★ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বশেষ গ্রেফতার হন → ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘােষণা দেওয়ার পরপরই (পাকিস্তান সরকার কর্তৃক)।

(৫৭) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু ঢাবি থেকে বহিষ্কার হন → ১৯৪৯ সালে।

(৫৮)  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় → ২০১০ সালের ১৪ আগস্ট ( ৬১ বছর পর ) ।

(৫৯) বঙ্গবন্ধুর গ্রাম অবস্থিত → বাইগার নদীর তীরে।

(৬০) গোপালগঞ্জ অবস্থিত → মধুমতি নদীর তীরে।

(৬১) বঙ্গবন্ধুর জেল জীবনের উপর রচিত বইয়ের নাম → ৩০৫৩ দিন।

(৬২) ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের লেখক → শেখ মুজিবুর রহমান।

(৬৩) বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রথম প্রকাশিত হয় → জুন, ২০১২ সালে।

(৬৪) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লেখা শুরু করেন → ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে। 

(৬৫) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” লেখা শুরু করেন → ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ বা বন্দি অবস্থায়।

(৬৬) বঙ্গবন্ধু  তাঁর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” লিখতে পেরেছিলেন → ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত। 

(৬৭) “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছেন → শেখ হাসিনা।

(৬৮) ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র প্রচ্ছদ এঁকেছেন → সমর মজুমদার।

★ বঙ্গবন্ধু  তাঁর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” গ্রন্থটি → কাউকে উৎসর্গ করে যাননি।

(৬৯) বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন → ড. ফখরুল আলম।

(৭০) ‘বায়ান্নর দিনগুলাে’ নেয়া হয়েছে → ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে।

(৭১) ‘বায়ান্নর দিনগুলাে’ লিখেছেন → বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

(৭২) ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  বন্দী ছিলেন → ফরিদপুর কারাগারে।

(৭৩) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক রচিত ‘বায়ান্নর দিনগুলাে’ তে কারাগারে অনশনরত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী ছিলেন → মহিউদ্দিন আহমদ।

(৭৪) বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর দ্বিতীয় গ্রন্থের নাম → কারাগারের রােজনামচা।

(৭৫)  ‘কারাগারের রােজনামচা’ গ্রন্থের নামকরণ করেন → শেখ রেহানা।

★ ‘কারাগারের রােজনামচা’ বইটির বঙ্গবন্ধুর দেয়া নাম ছিল → ‘থালা বাটি কম্বল, জেলখানার সম্বল’।

★ ‘কারাগারের রােজনামচা’ গ্রন্থের প্রচ্ছদ তৈরি করেন → তারিক সুজাত।

★ ‘কারাগারের রােজনামচা’ বইটি প্রকাশিত হয় → ২০১৭ সালের ১৭ই মার্চ (বাংলা একাডেমি থেকে)।

(৭৬) ‘কারাগারের রােজনামচা’র ভূমিকা লিখেছেন → শেখ হাসিনা।

(৭৭) বঙ্গবন্ধু ‘কারাগারের রােজনামচা’ গ্রন্থে (১৯৬৬-১৯৬৮) সময়কালের কারাস্মৃতি লিপিবদ্ধ করেছেন।

★ ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বঙ্গবন্ধুর লেখা→ তৃতীয় বই।

★  ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইটি প্রকাশিত হয় → ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ (বাংলা একাডেমি থেকে)।

(৭৮) মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখিত গ্রন্থ ‘আমার কিছু কথা’ এর লেখক → শেখ মুজিবুর রহমান।

★ মুক্তিযুদ্ধের ওপর লিখিত বঙ্গবন্ধুর অমর গ্রন্থ →  ‘আমার কিছু কথা’।

(৭৯) বিশ্বশান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভূষিত করেন → জুলিও কুরি পদক।

(৮০) শান্তিতে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  পেয়েছিলেন → জুলিও কুরি পদক।

(৮১) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জুলিও কুরি পুরষ্কার লাভ করেন → ১০ অক্টোবর, ১৯৭২ সালে।

(৮২) বিখ্যাত ম্যাগাজিন নিউজ উইকস্ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আখ্যা দিয়েছিল→ রাজনীতির কবি (Poet of politics) 

(৮৩) ডেভিড ফ্রস্ট ছিলেন → একজন সাংবাদিক।

(৮৪) ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন Newsweek – এর সাংবাদিক লোবেন জেঙ্কিন্স তার প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে→ ‘রাজনীতির কবি’ (Poet of Politics ) বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। 

(৮৫) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে→ ‘রাজনীতির কবি’ উপাধি দেওয়া হয় → ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য।

★ বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দেন→  ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে যা এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিতি।

(৮৬) ১৯৭২ সালে বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টের নেয়া বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকারটি নিউইয়র্ক টেলিভিশনে ‘ডেভিড ফ্রস্ট প্রােগ্রাম ইন বাংলাদেশ’ নামে প্রচারিত হয়। ডেভিড ফ্রস্ট ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনারও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। 

(৮৭) ২০০৪ সালে বিবিসির শ্রোতা জরিপে বঙ্গবন্ধু → ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী’ নির্বাচিত হন। 

(৮৮) ২০১৭ সালে ভারতের রাজধানী দিল্লির পার্ক স্ট্রিটের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রােড’ করা হয়।

(৮৯) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাবন্দী দিনের স্মৃতি রক্ষার্থে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের → দেওয়ানি সেলকে বঙ্গবন্ধু কারা স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে।

(৯০) ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ চেয়ার আছে → ঢাবির ইতিহাস বিভাগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদে, 

 কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাসিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় , দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
error: Content is protected !!