একনজরে বাংলাদেশের জি-আই পণ্যসমূহ

জিআই (GI) কী?

জিআই (GI) এর পূর্ণরূপ হলো (Geographical indication) ভৌগোলিক নির্দেশক। 

কোনো একটা দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে কোনো পণ্য তৈরি হলে তাকে বলা হয় সেই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক জিআই পণ্য।

জিআই হলো ভৌগোলিক নির্দেশক চিহ্ন যা কোনো পণ্যের একটি নির্দিষ্ট উৎপত্তিস্থলের কারণে এর খ্যাতি বা গুণাবলী নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত জিআইতে উৎপত্তিস্থলের নাম (শহর, অঞ্চল বা দেশ) অন্তর্ভুক্ত থাকে।

★ WIPO (world intellectual property organization) হলো জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দানকারী প্রতিষ্ঠান।

★★ জিআই (GI)  কেন দেয়া হয়?

ভৌগোলিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সামগ্ৰী নিৰ্দিষ্ট গুণগত মানদণ্ড বা নিৰ্দিষ্ট প্ৰস্তুত প্ৰণালী অথবা বিশেষত্ব নিশ্চিত করে। কোনো নির্দিষ্ট স্থানের কোনো পণ্য খুব নামকরা হলে এবং সেই নামের ওপর বিশ্বাস করেই পণ্যটি কেনা ও ব্যবহার করার গুরুত্ব দিতেই এই জিআই সনদ দেয়া হয়। প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে সে স্থানের নাম যুক্ত করা হয়। যেমন- ঢাকাই জামদানি এক সময় শুধু ঢাকার কারিগররাই উৎপাদন করতে পারতেন। আর ঢাকার আবহাওয়াও এ জামদানি তৈরির জন্য উপযোগী ছিল। ফলে যুগের পর যুগ তারা এ জামদানি তৈরি করে এসেছে। যা পৃথিবীজুড়ে স্বীকৃত। 

 জিআই (GI) পণ্যের গুরুত্ব ও মর্যাদা:

মূলত কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অর্থাৎ সেই পণ্য শুধু ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়।

কোনো পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেলে পণ্যগুলো বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়। পণ্যগুলোর আলাদা কদর থাকে। ওই অঞ্চল বাণিজ্যিকভাবে পণ্যটি উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পায়।

★ বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ১৭ নভেম্বর ২০১৬ সালে “জামদানি” স্বীকৃতি পায়।

একনজরে বাংলাদেশের জি-আই পণ্যসমূহ:

(১) জামদানি (১৭ নভেম্বর ২০১৬)

(২) ইলিশ (১৭ আগস্ট ২০১৭)

(৩) বাগদা চিংড়ি (২০২১) 

(৪) চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম (২০১৯) 

(৫) ফজলি আম (২০২১) 

(৬) ঢাকাই মসলিন (২০২০) 

(৭) রাজশাহী সিল্ক (২০২২) 

(৮) রংপুরের শতরঞ্জি (২০২২) 

(৯) কালিজিরা ধান (২০২১) 

(১০) বিজয়পুরের সাদামাটি (২০২১) 

(১১) দিনাজপুরের কাটারিভোগ (২০২১) 

(১২) বাংলাদেশের শীতলপাটি (২০২৩) 

(১৩) বগুড়ার দই (২০২৩) 

(১৪) শেরপুরের তুলসীমালা ধান (২০২৩)

(১৫) চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম (২০২৩)

(১৬) চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম (২০২৩)

(১৭) নাটোরের কাঁচাগোল্লা (২০২৩)

(১৮) বাংলাদেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল (২০২৪)

(১৯) টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম (২০২৪)

(২০) কুমিল্লার রসমালাই (২০২৪)

(২১) কুষ্টিয়ার তিলের খাজা (২০২৪)

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
error: Content is protected !!