একনজরে বাংলা ভাষা (বাংলা ব্যাকরণ) | Bengali Language at a Glance

(১) মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে বলে → ভাষা।

(২) মনের ভাব প্রকাশের প্রধান বাহন/ মাধ্যম হচ্ছে → ভাষা।

(৩) মানুষ তার মনের ভাব বেশি প্রকাশ করে → কণ্ঠধ্বনির মাধ্যমে।

(৪) মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে → ২ ভাবে (অর্থপূর্ণ ধ্বনির মাধ্যমে ও ইঙ্গিতের মাধ্যমে)

(৫) ভাষার সৃষ্টি হয় ধ্বনির সাহায্যে। আর ধ্বনির সৃষ্টি হয় বাগযন্ত্রের সাহায্যে।

(৬) ভাষার পরিবর্তন ঘটে → দেশ, কাল ও পরিবেশ ভেদে।

(৭) ভাষা হচ্ছে → ভাব প্রকাশের মাধ্যম।

(৮) বাংলা ভাষার প্রধান দুইটি রূপ → মৌখিক ও লৈখিক‌।

(৯) বাংলা ভাষার মৌলিক রূপ/ রূপ → ২ টি।

(১০) প্রত্যেক ভাষার মৌলিক অংশ → ৪ টি। যথা- ধ্বনি, শব্দ, অর্থ ও বাক্য।

(১১) কিছু ব্যাকরণবিদের মতে প্রত্যেক ভাষার মৌলিক অংশ → ৩ টি। যথা- ধ্বনি, শব্দ ও বাক্য।

(১২) নির্দিষ্ট পরিবেশে মানুষের বস্তু ও ভাবের প্রতীক → ভাষা।

(১৩) ব্যাকরণ ও ভাষার মধ্যে আগে সৃষ্টি হয়েছে → ভাষা।

(১৪) বাংলা ভাষার উৎপত্তি শৃঙ্খল: ইন্দো-ইউরোপীয়> শতম> প্রাকৃত> গৌড়ীয় প্রাকৃত> গৌড়ীয় অপভ্রংশ/ মাগধী প্রাকৃত> বঙ্গ-কামরূপী> বাংলা।

(অপশনে যেটি বাংলা ভাষার নিকটতম থাকবে সেটিই সঠিক উত্তর হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।) 

(১৫) বাংলা ভাষা → ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষার অন্তর্গত।

(১৬) বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে → ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষা থেকে।

(১৭) ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত ভাষা → বাংলা।

(১৮) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার শাখা → ২ টি।

(১৯) ইন্দো-ইউরোপীয় মূলভাষার প্রধান শাখা দু’টি হলো → কেন্তম ও শতম।

(২০) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের শতম থেকে উৎপত্তি হয়েছে → বাংলা ভাষার।

(২১) বাংলা ভাষা যে দুটি অনার্য ভাষা দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত → দ্রাবিড় ও কোল।

(২২) পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষার উৎপত্তি হয়েছে → ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে।

(২৩) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার প্রচলন ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর পূর্বে মধ্য এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে।

(২৪) বাংলা আদি জনগোষ্ঠীর ভাষা ছিল → অস্ট্রিক।

(২৫) বাংলা ভাষার পূর্ববর্তী স্তরের নাম → প্রাকৃত ভাষা।

(২৬) প্রাকৃত শব্দের অর্থ → স্বাভাবিক।

(২৭) ‘প্রাকৃত’ শব্দের ভাষাগত অর্থ → জনগণের ভাষা।

(২৮) ভারতীয় ভাষার নিদর্শন যে গ্রন্থে পাওয়া যায়, তার নাম → ঋগ্বেদ।

(২৯) প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা → বৈদিক।

(৩০) ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর আদিম উৎস → অনার্য ভাষা।

(৩১) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি → গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে।

(৩২) স্যার জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ার্সন ও ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি → মাগধী প্রাকৃত থেকে।

(৩৩) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি → সপ্তম শতাব্দী

(৩৪)  ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি → দশম শতাব্দী।

(৩৫) কেন্তমের এশিয়ার অন্তর্গত 

দুটি শাখা → হিত্তিক ও তুখারিক ।

(৩৬) বাংলা ভাষার আদিস্তরের স্থিতিকাল → দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত।

(৩৭) অপভ্রংশ কথাটির অর্থ → বিকৃত।

(৩৮) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য প্রত্যক্ষভাবে যার কাছে ঋণী → অপভ্রংশ।

(৩৯) বাংলা ভাষার উদ্ভব হয় → সপ্তম খ্রিষ্টাব্দে।

(৪০) বাংলা লিপির উৎস/ উদ্ভব → ব্রাহ্মী লিপি থেকে।

(৪১) ব্রাহ্মী লিপির কুটিল রূপ থেকে → বাংলা এসেছে।

(৪২) ব্রাহ্মী লিপির কুটিল রূপ ‘পূর্বী লিপি’ থেকে → বাংলা এসেছে।

(৪৩) বাংলা লিপির সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে → আসামি ভাষার লিপি

(৪৪) ডান দিক থেকে লেখা হয় → খরোষ্ঠী লিপিমালা।

(৪৫) ভারতীয় লিপিমালার আদি রূপ দুইটি → ব্রাহ্মী লিপি ও খরোষ্ঠী লিপি।

(৪৬) ভারতীয় মৌলিক লিপি → ব্রাহ্মী লিপি ।

(৪৭) সম্রাট অশোক তার অধিকাংশ কর্ম লেখান → ব্রাহ্মী লিপিতে।

(৪৮) বাংলা লিপি ও অক্ষরের গঠনকার্য শুরু হয় → সেন যুগে

(৪৯) বাংলা লিপির স্থায়ী রূপ তৈরি করে অক্ষর গঠনের কাজ শুরু হয় → পাঠান যুগে।

(৫০) ভারতবর্ষের প্রাচীনতম লিপি → ব্রাহ্মী লিপি ।

(৫১) ব্রাহ্মী লিপির তিনটি রূপ রয়েছে। যথা: কুটিল, নাগর ও সারদা।

(৫১) বাঙালিদের মধ্যে বাংলা বর্ণমালার প্রথম নকশা তৈরি করেন → পঞ্চানন কর্মকার।

(৫২) সম্পূর্ণ বাংলা অক্ষরের নকশা প্রথম প্রস্তুত করেন → চার্লচ উইলকিনস।

(৫৩) বাংলা লিপির অক্ষর বা বর্ণের আধুনিক রূপ দেন → পঞ্চানন কর্মকার।

(৫৪) বাংলা এবং মৈথিলী ভাষার মিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে → ব্রজবুলি ভাষা।

(৫৫) ব্রজবুলি ভাষার স্রষ্টা / আবিষ্কারক → মিথিলার কবি বিদ্যাপতি।

(৫৬) প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা মানুষের মুখে মুখে বদলে পরিণত হয়েছে → বাংলা ভাষায়।

(৫৭) বাংলা ভাষার বয়স → প্রায় ১৩০০ বছর।

(৫৮) বাংলা ভাষা হলো →  ইন্দো-আর্য ভাষা।

(৫৯) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত → বাংলা।

(৬০) ভাষা নিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা → ‘ইথনোলগ’

★★ বাংলা ভাষা ব্যবহার করে থাকে প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ার বাঙালি জাতি। বাংলা ভাষা প্রধানত ব্যবহার করা হয় বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, আন্দামান-নিকোবার  দ্বীপপুঞ্জ, ঝাড়খন্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, ওড়িশা, রাজ্যগুলিতে।

★★ বাংলা ভাষা ইন্দো-ইওরোপিয়ান ভাষার ইন্দো-ইরানিয়ান ব্র্যাঞ্চের ইন্দো-আর্য গ্রুপের একটি অংশ।

★★ পৃথিবীর একমাত্র ভাষা হল বাংলা, এই  ভাষার যার জন্য অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছিলেন,  নিজের মাতৃভাষা রক্ষা করতে।

★★ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর  বাঙালির চেতনার প্রতীক, ভাষার জন্য আত্মত্যাগের দিন, ২১শে ফেব্রুয়ারি  বাংলাদেশের জাতীয় শহিদ দিবস পায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা। রাষ্ট্রসংঘের সেই স্বীকৃতির পর থেকে পৃথিবীর নানা ভাষাভাষী মানুষ দিনটি পালন করছে। ভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে গোটা বিশ্ব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shopping Cart
error: Content is protected !!